ঘোষণাপত্রে শাপলা চত্বরের ঘটনা না আসায় হতাশ হেফাজত |
🕌 শাপলা চত্বর উপেক্ষিত: জুলাই ঘোষণাপত্রে হতাশ হেফাজতে ইসলাম
জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত না করায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ হাবিব মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক প্রতিক্রিয়ায় এ হতাশা জানান।
📢 "আলেমদের রক্তের ইতিহাস মুছে ফেলা ঠিক নয়"
জুনায়েদ হাবিব বলেন,
“২০১৩ সালের ৫ মে, শাপলা চত্বরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের রক্ত ঝরেছিল। এক রাতেই লক্ষাধিক গুলি ছোড়া হয়। হাজারো আলেম শহীদ হন। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে ঘোষণাপত্রে উপেক্ষা করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তিনি আরও যোগ করেন, ঘোষণাপত্র পাঠের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত না করাও দেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে।
📜 কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে?
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। এতে স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত ২৮টি দফা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঘোষণাপত্র পাঠের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াত সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
⏪ পেছনে ফেলে আসা এক রক্তাক্ত রাত
২০১৩ সালের ৫ মে রাতে হেফাজতের নেতৃত্বে হাজারো আলেম-ওলামা রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে, যা আজও বিতর্কিত ও আলোচিত।
No comments:
Post a Comment