ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, চাকরি হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক |
🎓 পাবিপ্রবি শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার
People’s Bangla | পাবনা | ২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার
অনৈতিক সম্পর্ক ও যৌন হয়রানির অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৬ জুলাই (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা সোমবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
❌ বহিষ্কৃত শিক্ষক কে?
বহিষ্কৃত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও একই বিভাগের স্নাতকোত্তর ইভিনিং ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের প্রেম ও বিয়ের আশ্বাসে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান, কিন্তু পরে শিক্ষক সুব্রত বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
🕵️♀️ তদন্ত কী বলছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রী বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
- তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে।
- এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল উচ্চতর তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়।
- সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী, ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা ২০০৮’ অনুসারে, তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
🎙️ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল বলেন,
“রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী হয়েছে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
🧭 নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে অনেকে শিক্ষাঙ্গনে শুদ্ধতা ও নিরাপদ পরিবেশ রক্ষার দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।
No comments:
Post a Comment