শতকোটি টাকা নিয়ে পালাল ফ্লাইট এক্সপার্ট! |
ধস নামল ফ্লাইট এক্সপার্টে: গ্রাহকের শত কোটি টাকা নিয়ে ‘পালিয়েছে’ মালিকপক্ষ!
দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন ফ্লাইট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ করেই কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট এখন আর সচল নয়, ঢাকার অফিসও বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মালিকপক্ষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আর এতে বিপাকে পড়েছেন শত শত গ্রাহক ও ট্রাভেল এজেন্সি, যারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এই প্ল্যাটফর্মে।
ফ্লাইট এক্সপার্টের সেলস বিভাগের এক সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, “গত রাতেই আমাদের মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। আমরা এখন মতিঝিল থানায় যাচ্ছি।”
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির সিওও সালমান তাদের ইন্টারনাল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন— তার সহকর্মী সাঈদ, হোসাইন ও সাকিব চক্রান্ত করে পুরো দোষ তার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তারা পরিকল্পিতভাবে ৩ কোটি টাকারও বেশি তুলে নিয়ে নিজেরা আত্মগোপন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি এখন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
সালমান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চলমান দোষারোপ ও হুমকির মুখে আমি নিজেকে রক্ষা করতে ছুটিতে গেছি। এভাবে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি দুঃখিত।”
গ্রাহক ও এজেন্সিগুলোর ক্ষোভ, অনিশ্চয়তায় শত কোটি টাকা
অনেকেই ফেসবুকে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধস। জয়িতা আফরিন নামের এক গ্রাহক লেখেন, “ফ্লাইট এক্সপার্টের মতো ট্রাস্টেড কম্পানি যদি দেশ থেকে পালিয়ে যায়, তাহলে আমরা কাকে বিশ্বাস করব?”
ফ্লাইট এক্সপার্ট ২০১৭ সালের মার্চে যাত্রা শুরু করে এবং অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রসেসিংয়ের মতো সেবা দিয়ে আসছিল। বিশেষ করে সাশ্রয়ী দামে ফ্লাইট বুকিং ও আকর্ষণীয় অফার দিয়ে এটি দ্রুত ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জন করে।
তবে আজ সেই আস্থা ভয়াবহ প্রশ্নের মুখে। ফ্লাইট এক্সপার্টের ফেসবুক পেজে সর্বশেষ পোস্টে ছিল হজ ২০২৬-এর রেজিস্ট্রেশন তথ্য—যা এখন এক প্রকার প্রতারণাই মনে করছেন অনেকেই।
এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, গ্রাহকরা কী আদৌ তাদের টাকা ফেরত পাবেন?
বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
No comments:
Post a Comment