| অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখা নিয়ে যা বলল টিআইবি |
সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখা সাংবিধানিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি
কনটেন্ট:
বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখা সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আইনের সমান প্রয়োগের মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
দুর্নীতিবিরোধী বৈশ্বিক সংস্থাটি বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন,
“একই অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিচয় বা অবস্থানের কারণে বৈষম্য কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির পেশাগত পরিচয় বা পদমর্যাদা বিবেচনায় নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন,
“এভাবে কাউকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান বা মূল্যায়ন ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। অন্যান্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা সাব-জেলের যৌক্তিকতা কী?”
সরকারের এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেছে টিআইবি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
“অভিযুক্ত অন্য সেনা কর্মকর্তাদের কেন সেনা হেফাজতে রাখার প্রয়োজন হলো—এর ব্যাখ্যা সেনা কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের দেওয়া জরুরি। এই ধরনের মর্জিমাফিক আচরণ ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে সম্প্রতি সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে গত সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
No comments:
Post a Comment