| আপা আর ফিরছেন না, নেতৃত্বের বাইরে শেখ পরিবার |
🔹 ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা: জুলাই গণহত্যায় ক্ষমা চাইবেন না
পতিত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নতুন কূটনৈতিক খেলা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক রয়টার্স ও দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং ফ্রান্সভিত্তিক এএফপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, জুলাই গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
শেখ হাসিনা রয়টার্সকে বলেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, আমি দেশে ফিরব না। ভবিষ্যতে সরকার বা বিরোধী দলের নেতৃত্বে আমার পরিবারের অংশগ্রহণ অপরিহার্য নয়।”
সাক্ষাৎকারে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তার ধারণা, আসন্ন নির্বাচনে বেশিরভাগ মানুষ ভোট দেবেন না।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেন, হাসিনার সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে, তা মাথায় রাখতে হবে। এছাড়া, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারতের নিরাপদ আশ্রয় ও বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অস্থিতিশীলতার নানা কূটচালনা এখনও চলমান।
ভারত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করেছে এবং দলীয় কার্যালয় খোলার সুযোগ দিয়েছে দিল্লি ও কলকাতায়। হাসিনার সঙ্গে থাকা উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারাও নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা দি ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, “জুলাই গণহত্যার জন্য আমি দায়ী নই। বিচার কার্যক্রম লজ্জাজনক, এবং নিহতদের জন্য ক্ষমা চাইব না।” আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার রায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের হিসাব অনুযায়ী, ওই বিক্ষোভে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ আগামী নির্বাচনে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারকে অনির্বাচিত ও অবৈধ অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন আয়োজন শুধুই অন্যায় নয়, আত্মঘাতীও। পরবর্তী সরকারের নির্বাচনি বৈধতা প্রয়োজন। কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্ভব নয়।”
No comments:
Post a Comment