| এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় ১০ গ্রামবাসীকে হত্যা পুলিশের |
দক্ষিণ চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদী পেরিয়ে দক্ষিণে বিস্তৃত সাতটি উপজেলা—বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী—একসময় রাজনৈতিক সহাবস্থান ও শান্তির এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। সবুজ পাহাড় ও নদীবেষ্টিত এ জনপদ দীর্ঘদিন ধরে কৃষি ও ব্যবসা নির্ভর অর্থনীতির জন্যও সমৃদ্ধ ছিল।
তবে গত দেড় দশকে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক সহিংসতা, গুম, গ্রেপ্তার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্রমেই বেড়েছে বলে স্থানীয় নাগরিক ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
বিভিন্ন স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে, অনেকে হয়েছেন আহত বা পঙ্গু।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, এসব এলাকায় ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষ অনেক সময় ‘অপহরণ’, ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘গায়েবি মামলা’র শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে তদন্তের দাবি তুললেও অধিকাংশ ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে সহিংসতার চক্র বহু বছর ধরেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের টানাপোড়েনের সঙ্গে যুক্ত। তারা মনে করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জবাবদিহি শক্তিশালী না হলে এ ধরনের সহিংসতা রোধ করা কঠিন।
মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা বলেন, দেশের সব অঞ্চলে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হলে প্রতিটি সহিংস ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। তারা রাজনৈতিক সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment