সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতে মূল হোতা সাবেক ছাত্রদল নেতা - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 31, 2025

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতে মূল হোতা সাবেক ছাত্রদল নেতা

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতে মূল হোতা সাবেক ছাত্রদল নেতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে সঞ্চয়পত্রের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একজন গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন—মো. আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ মারুফ এলাহী, আল আমিন ও মহিউদ্দিন আহমেদ। তাদের মধ্যে আরিফুর রহমানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


🔸 মূল হোতা মারুফ এলাহী

জানা গেছে, এ চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ মারুফ এলাহী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭–০৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছাত্রদলের বিগত কমিটির সহ-সভাপতি এবং তার আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অমর একুশে হল শাখার আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।

তার বাবা মোহাম্মদ আব্দুল কাদির ও মা হাওয়া বেগম। বর্তমানে তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ের পূর্ব তেজতুরী বাজার এলাকায় থাকেন, আর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুরে।


🔸 জালিয়াতির বিস্তারিত

মামলার নথি অনুযায়ী, প্রতারক চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ ইউজার আইডি ব্যবহার করে একটি সরকারি সঞ্চয়পত্র অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেয়।

মারুফ এলাহীর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কাওরানবাজার শাখার অ্যাকাউন্টে দুইটি সঞ্চয়পত্রের মোট ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থ উত্তোলনের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক তা শনাক্ত করে লেনদেনটি আটকে দেয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “মারুফ এলাহী আগের কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি বা ছাত্রদলের কোনো পদে নেই।”


🔸 কীভাবে টাকা আত্মসাৎ হয়

মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এসএম রেজভীর নামে থাকা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভেঙে এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুরের রানীগঞ্জ উপশাখার গ্রাহক মো. আরিফুর রহমানের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

এরপর ঢাকার দুটি শাখা থেকে দ্রুত সেই টাকা নগদে তুলে নেওয়া হয়। তদন্তে জানা গেছে, আরিফের ব্যাংক লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেই সীমা বেড়ে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়, যাতে বড় অঙ্কের টাকা তোলা সম্ভব হয়।


বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাইবার জালিয়াতির এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর প্রতারণার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

© 2025 Peoples Bangla | All Rights Reserved.
×