সেই ফাইয়াজের বড় ভাই মাজহারুল এখন জাকসুর জিএস |
যাত্রাবাড়ীর কিশোর আসামি থেকে ভাইয়ের জাকসু বিজয়ে গর্বিত ফাইয়াজ
হত্যা মামলায় আসামি হয়ে হ্যান্ডকাফ ও রশিতে বাঁধা অবস্থায় আদালতে নিয়ে যাওয়া এক কিশোরের ছবি একসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। সেই কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ, যিনি তখন মাত্র ১৭ বছরের কিশোর ও ঢাকা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফাইয়াজ তিন ভাইয়ের মেজো। তার বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম (ফাহিম) সদ্য অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাইয়ের বিজয়ে আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট
ভাইয়ের এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ফাইয়াজ নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন—
“একদিন আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আম্মু, আপনার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে? কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি বলেছিলেন, ফাহিম। সেই আম্মুর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আজ জাকসুর জিএস নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।”
ফাইয়াজ বিশ্বাস করেন, তার ভাই শিক্ষার্থীদের জন্য শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, অধিকার রক্ষা এবং মতের বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দেবেন।
মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বগুণ
মাজহারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নেতৃত্বের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনসিসি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি প্লাটুনের সিইউও ও ক্যাডেট ইনচার্জ, জেইউডিও বিতর্ক সংগঠনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অ্যাকাডেমিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছেন।
ফাইয়াজ স্মৃতিচারণ করে আরও লিখেছেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ভাইয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আমাকে টর্চার করে ভাইয়ার অবস্থান জানতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি কিছু না বলায় তারা ভাইয়ার মোবাইল ট্র্যাক করে। তবে তার কৌশলী অবস্থানের কারণে তাকে ধরতে পারেনি।
শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতীক
গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। ফল ঘোষণা হয় টানা ৪৭ ঘণ্টা গণনার পর শনিবার সন্ধ্যায়।
ভাইয়ের এই বিজয়ে ফাইয়াজ দোয়া চেয়েছেন—
“আল্লাহ যেন ভাইয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কবুল করেন, শিক্ষার্থীরা যেন তাকেও তাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে গ্রহণ করেন।”
No comments:
Post a Comment