পঙ্গু হাসপাতালে ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ অর্ডার দিয়ে যান শেখ হাসিনা |
📰 People’s Bangla প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান। তিনি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে।
📌 আদালতে শিক্ষার্থীর বিস্ফোরক জবানবন্দি
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন:
“২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় আন্দোলন চলাকালে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে আমাকে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শনে এসে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়ে যান, যা তিনি নিজ কানে শুনেছেন। তিনি আরও জানান, পরে তাঁর পায়ের চিকিৎসা না করে তা কেটে ফেলার চেষ্টা করা হয় এবং তাকে কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
🧾 মামলা ও বিচার কার্যক্রম
- এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
- ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
- ট্রাইব্যুনাল সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন গ্রহণ করে, যিনি আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
- শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক; তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে।
- মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট।
⚖️ কী বলেছিলেন চৌধুরী মামুন?
তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন:
“জুলাই-আগস্টে আমাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগ সত্য। আমি এই অপরাধে দোষী। রাজসাক্ষী হয়ে সব ঘটনা জানাতে চাই।”
🔍 অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- প্রথম সাক্ষী ছিলেন মাইক্রোবাসচালক খোকন চন্দ্র বর্মণ।
- শেখ হাসিনা ও কামালকে আত্মসমর্পণের নোটিশ গত ১৭ জুন জারি করা হয়।
- ১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধ আমলে নেয় এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
No comments:
Post a Comment