রায়ের বাজার গণকবরের ১১৪ মরদেহ উত্তোলনের আদেশ |
📍 People’s Bangla
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিহত হয়ে রায়েরবাজার কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন হওয়া ১১৪ শহীদের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও আইনানুগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।
⚖️ আদালতের আদেশে কী রয়েছে?
আদালত ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬(২) ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উদ্ধার করা মরদেহগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরি করে পরিচয় শনাক্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
📝 মামলার আবেদনের প্রেক্ষাপট
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাহিদুল ইসলাম আদালতে দেওয়া আবেদনে জানান:
“বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ শহীদ হয়েছেন। যাদের অনেকের পরিচয় অজ্ঞাত থেকে গেছে। তাদের ১১৪ জনকে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখন তাদের মরদেহ শনাক্ত করতে কবর উত্তোলন করা প্রয়োজন।”
আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মরদেহ উত্তোলন, ডিএনএ সংগ্রহ ও আইনি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণে নির্দেশ দেন।
🧬 ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিতের উদ্যোগ
পরিচয় শনাক্ত হওয়া শহীদদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও আদালতের আদেশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ লক্ষ্যে মেডিকো-লিগ্যাল বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় মরদেহ পরীক্ষা ও শনাক্তকরণের কাজ পরিচালিত হবে।
⛔ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত
সোমবার বিকেলে কবর উত্তোলনের কথা থাকলেও "অনিবার্য কারণে" সেটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি জুয়েল রানা। নতুন সময়সূচি শিগগির জানানো হবে।
🕊️ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গণকবর পরিদর্শন
এর আগে, ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রায়েরবাজার কবরস্থানের গণকবর পরিদর্শন করেন। তিনি জানান:
“এখানে ১০০ জনের বেশি শহীদ দাফন করা হয়েছে, যাদের অনেককে শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহগুলোর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে।”
No comments:
Post a Comment