শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে: আমিনুল হক |
শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রীয় খেতাব: আমিনুল হক
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে শহীদ হওয়া মুক্তিকামীদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবার সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,
“যদি বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, তাহলে শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হবে।”
“তাদের রক্ত আমাদের অনুপ্রেরণা”
আমিনুল হক বলেন,
“আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় বলেন— জনগণের সঙ্গে থাকাই রাজনীতি। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ আন্দোলন আমরা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রাখব।”
২০২৪ সালের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন,
“আমরা ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার হই, ১৩ দিন রিমান্ড শেষে ৩ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়। তবুও রিমান্ডে থেকেও আন্দোলনের স্পৃহা হারাইনি। অথচ একই সময় কোটা আন্দোলনের নেতারা সরকারের সঙ্গে আপসে গিয়েছিল। আজ তারা সেই স্বৈরাচার পতনের সুফল ভোগ করছে, যা দুঃখজনক।”
“নতুন মুখোশে পুরনো অপশক্তি, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না”
তিনি অভিযোগ করেন,
“নতুন দলের নামে আবারও আলবদর বাহিনী ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে ক্ষমতার মোহে বিভোর হয়ে পড়েছে। তবে জনগণ এখন সচেতন, তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।”
তিনি আরও বলেন,
“নির্বাচন ঠেকাতে সংস্কারের নামে একটি মহল নাটক করছে। অথচ ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তারেক রহমান ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে বাস্তব রূপরেখা দিয়েছেন।”
“স্বৈরাচার এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি”
বিএনপির এই নেতা বলেন,
“আমরা হয়তো ৫ আগস্ট স্বৈরাচারকে পতন ঘটিয়েছি, কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। এখন দরকার জনগণের রায়ের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা চাই স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ মন্ত্রী-এমপিদের বিচারের মুখোমুখি করতে।”
“তারেক রহমান ছিলেন, আছেন, থাকবেন শহীদ পরিবারদের পাশে”
আমিনুল হক বলেন,
“গত ১৭ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন—বিশেষ করে ২০২৪ সালের শহীদ পরিবারগুলোর পাশে সবসময় তারেক রহমান আছেন, থাকবেন। তাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। শহীদ পরিবারের যন্ত্রণা শুধু তারা নিজেরাই বোঝে—আমাদের দায়িত্ব সেই যন্ত্রণার মূল্য দেওয়া নির্বাচন, বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে।”
No comments:
Post a Comment