ফিরে দেখা ৩০ জুলাই : ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা, মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, July 29, 2025

ফিরে দেখা ৩০ জুলাই : ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা, মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ

 

ফিরে দেখা ৩০ জুলাই : ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা, মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ
ফিরে দেখা ৩০ জুলাই : ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা, মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ

৩১ জুলাই ‘মার্চ ফর জাস্টিস’: ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধে উত্তাল বাংলাদেশ

দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস দমন, গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩১ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় টেলিগ্রামে এক ঘোষণায় সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের জানান, দেশের সকল আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে একযোগে কর্মসূচি পালিত হবে। লক্ষ্য— গুম, হত্যা, গণগ্রেফতারসহ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতিবাদ এবং ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবি আদায়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, পেশাজীবী ও শ্রমজীবীদের এই কর্মসূচিতে সহায়তা ও সংহতি জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয় কোটা আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের স্মরণে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোয় প্রার্থনার আয়োজন হয়।

তবে এই রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা মুখ ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তুলে অনলাইনে প্রচার চালান। রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মৌন মিছিল করেন।

একই দিনে গুলিস্তানে প্রতিবাদী গান ও নাট্য-মিছিল করে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। মিছিলে পুলিশের বাধার মুখে উত্তেজনা ছড়ায়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ছাত্র আন্দোলনের ছয় শীর্ষ নেতা ডিবির হেফাজতে থাকায় বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। মুক্তি না দিলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক আলোচনায়।

আন্তর্জাতিক মহল থেকেও ঘটনার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।
🔹 জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানান, তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন এবং জরুরি পদক্ষেপে প্রস্তুত।
🔹 ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সহিংসতা ও ‘দেখামাত্র গুলি’ নীতির প্রতিবাদে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
🔹 অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খোলা চিঠিতে সহিংস দমন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, আন্দোলন ঘিরে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ২৬৪টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩টি হত্যা মামলা। গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ

সরকার এ অবস্থায় সন্ত্রাস ও নাশকতা ঠেকাতে সকল পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমরা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চেয়েছি যাতে সুষ্ঠু তদন্তে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যায়।’’

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad