ছাত্ররা দুর্নীতির কাছে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেছে: মেজর হাফিজ |
নির্বাচন বিলম্বে কিছু উপদেষ্টা ও ছাত্র দায়ী: মেজর (অব.) হাফিজ
People’s Bangla ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন আয়োজন করতে চাইলেও কিছু উপদেষ্টা ও ছাত্রগোষ্ঠী তাঁকে ভুলভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
রোববার দুপুরে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
"বিএনপি প্রস্তুত—ফেব্রুয়ারি হোক বা যেকোনো দিনেই নির্বাচন হোক"
মেজর হাফিজ বলেন, “ছাত্ররা ভাবছে—কমিটি হয়নি, নিবন্ধন হয়নি, তাহলে কীভাবে তারা ক্ষমতায় যাবে? অথচ বিএনপি যেকোনো সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, "নির্বাচন দিতে বাধা প্রধান উপদেষ্টা নন, বরং তাঁকে ঘিরে থাকা কিছু সুবিধাভোগী উপদেষ্টাই বড় বাধা।"
“গণতন্ত্রের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে”
তিনি বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রত্যাশায়।” কিন্তু বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক দল “সংস্কার”-এর নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আবার কিছু উপদেষ্টা নিজেদের বিলাসী জীবনযাপন ও আর্থিক সুবিধা অর্জনে ব্যস্ত।
ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, “ছাত্ররা সংগ্রামী হলেও দুর্নীতির কাছে সহজেই নতিস্বীকার করছে। তারা আমাদের নাতির বয়সী। আমরা চাই তারা নেতৃত্বে আসুক, তবে এখনই সিনিয়রদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা অনুচিত।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মেজর হাফিজ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সময়ে একদলীয় শাসন চালু হয়েছিল, আর এখন শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “সংসদে শেখ পরিবারেরই ৩৪ জন সদস্য রয়েছেন। রাষ্ট্রের অর্থ লুট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়া হয়েছে।”
এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। বিএনপির ওপর ১৭ বছর ধরে চলা দমন-পীড়নের বিচার হবে।”
“শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্য দরকার”
বক্তব্যের শেষদিকে মেজর হাফিজ বলেন, “নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”
সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম কুদ্দুসুর রহমান এবং উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের রহমত উল্যাহ।
No comments:
Post a Comment