✈️ বিমানে মৃত্যু, কিন্তু মরদেহ নেই! রহস্যে যুক্তরাষ্ট্র
তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার পথে এক যাত্রী মারা যান, কিন্তু অবতরণের পর সেই যাত্রীর মরদেহটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ জুলাই।
বিমানটি ছিল তুর্কি বিমান সংস্থা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের। তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটি যখন গ্রিনল্যান্ডের আকাশসীমায় ছিল, তখন ওই যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে বিমানের জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আইসল্যান্ডের কেফলাভিক বিমানবন্দরে। তবে যাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় সিদ্ধান্ত পাল্টে বিমানটি উত্তর আমেরিকার দিকে রওনা দেয়।
এভিয়েশনবিষয়ক সাইট এভিয়েশন A2Z জানিয়েছে, যদি কোনো যাত্রী বিমানে মারা যান, তবে অবতরণে আর ততটা জরুরি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন পড়ে না।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশের পর, বিমানটি শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এটি একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর, যেখানে যে কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবেলার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
বিমান অবতরণের পর মৃত ব্যক্তির মরদেহ বিমান থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। জানা যায়, এই মরদেহটি শিকাগোর কুক কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের অফিসে পাঠানোর কথা ছিল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে তারা দাবি করেছে, তারা কোনো মরদেহই গ্রহণ করেননি।
মরদেহটি এখন কোথায় রয়েছে, কিংবা কে তা গ্রহণ করেছে—এই বিষয়ে কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি।
তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে জানান, মরদেহটি শিকাগো থেকে সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশ্যে আরেকটি ফ্লাইটে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
ঘটনাটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে। বিমানবন্দরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কীভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘটলো, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment