প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে |
জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি লন্ডনের আলোচনা সভায়
পিপলস বাংলা নিউজ ডেস্ক | ২৯ জুলাই ২০২৫
লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ ও জুলাই সনদে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশ আয়োজিত "জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন: সম্ভাবনা ও করণীয়" শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ সরব হয়ে বলেন—আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, যিনি লন্ডনের নিউহ্যাম বারার তিনবারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার এবং একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন,
“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বন্ধ রেখে সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তাদের এই অবদান জুলাই সনদে স্বীকৃতি পেতেই হবে। আর এখন যদি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা হয়, তা আর কখনোই হবে না। কোনো রাজনৈতিক সরকার এটা করবে না।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে ৩ দফা মূল দাবি:
- জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- প্রবাসী ভোটারদের তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
- প্রবাস থেকে অনলাইন/ডাকযোগে ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ বক্তাদের বক্তব্য:
- ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ বলেন, “দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার কোনো দয়া নয়, এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।”
- সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান বলেন, “দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসীরা। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।”
- সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধুরী হুঁশিয়ার করে বলেন, “সংবিধান এখনও বহাল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে।”
সভাপতিত্ব ও উপস্থিতি:
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম শামিম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—
ড. মুহাম্মদ মুঈনুদ্দীন মৃধা, মাহিন খান, জয়নাল আবেদিন, জহিরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান শাফী, শাহিন আলম, সিরাজুম মুনির, রায়হান আহমেদ, আব্দুল হামিদ তাজুল প্রমুখ।
🔖 মূল বার্তা:
দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান হোক—প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখনই নিশ্চিত করতে হবে।
No comments:
Post a Comment