জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা ও বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে |
জুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
People’s Bangla ডেস্ক:
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানকে অর্থবহ ও ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে “জুলাই সনদ” একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, “এই রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের দাবি বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তিসম্পন্ন জুলাই সনদ অপরিহার্য।”
রোববার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আশাবাদ
গাজী আতাউর রহমান জানান, “আগামীকাল (২৮ জুলাই) জুলাই সনদের খসড়া দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে বলে আমরা জেনেছি। নানা অনিশ্চয়তা ও ধোঁয়াশার মধ্যেও এই অগ্রগতিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা ও বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত না করা হলে তা বাস্তবায়নের প্রশ্নে জনমনে সংশয় থেকেই যাবে।“
‘জুলাই অভ্যুত্থান কোনো দলের পরিকল্পনা ছিল না’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের রূপরেখা বা আদর্শ অনুযায়ী হয়নি। এটি ছিল সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া—বিগত ৫৪ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন, রাজনৈতিক অসুস্থ সংস্কৃতি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত বিদ্রোহ।”
তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলনে শুধু শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্র নয়, বরং বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে স্বৈরতন্ত্র নির্মূলের জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে। জুলাই সনদে এর সুস্পষ্ট প্রতিফলন থাকতে হবে।"
‘রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাও মূল্যায়নযোগ্য’
গাজী আতাউর রহমান মনে করেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব অবশ্যই আছে। তবে এটাও অস্বীকার করা যায় না যে, গত পাঁচ দশকে যেসব রাজনৈতিক সঙ্কট জমেছে, তার পেছনে অনেক দলই কম-বেশি দায়ী।”
তাই তিনি সতর্ক করে বলেন, “জুলাই সনদ যেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক বা মতামতনির্ভর না হয়। বরং আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে এটি বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়।”
No comments:
Post a Comment