বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, July 29, 2025

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়

 

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়

ম্যানহাটনে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, হামলায় প্রাণ গেল ৫ জনের

রিপোর্টার: পিপলস বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তারিখ: ৩০ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা।
ম্যানহাটনের ব্যস্ততম এলাকায়, ‘৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’ নামের ৪৪ তলা একটি ভবনে ঢুকে এক বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন।
নিহতদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম
পরে হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।

কীভাবে ঘটল হামলা:

সোমবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে, একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়িতে করে শেন ডেভন তামুরা নামের এক বন্দুকধারী পার্ক অ্যাভিনিউতে এসে পৌঁছান।
হাতে এম৪ রাইফেল নিয়ে ভবনে ঢুকে প্রথমেই লক্ষ্য করেন দিদারুল ইসলামকে—যিনি ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটের অফিসার হলেও সেদিন অফিসের বাইরে ছিলেন। কোনো কথা না বলেই শেন দিদারুলকে গুলি করে হত্যা করেন।

এরপর একে একে তিনজনকে হত্যা ও একজনকে আহত করেন শেন।
পরে তিনি ভবনের ৩৩তম তলায় গিয়ে আরও এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং নিজেও আত্মহত্যা করেন।

নিহত দিদারুল: দায়িত্বশীল, সাহসী, নিবেদিতপ্রাণ

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, “দিদারুল ছিলেন একজন সাহসী ও কর্তব্যপরায়ণ অফিসার। তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেলেন। তিনি একজন সত্যিকারের হিরো।”

নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, “দিদারুল ছিলেন এই শহরের প্রকৃত প্রতিনিধি। তাঁর মৃত্যু শুধু এই শহরের নয়, আমাদের সকলের অপূরণীয় ক্ষতি।

দিদারুল ২০২১ সালে NYPD-তে যোগ দেন।
তাঁর রয়েছে দুই সন্তান এবং স্ত্রী বর্তমানে আট মাসের গর্ভবতী।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি হতে যাচ্ছিলেন তিন সন্তানের গর্বিত বাবা।

হামলাকারী কে?

নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস. টিশ জানিয়েছেন, হামলাকারী শেন ডেভন তামুরা ছিলেন লাস ভেগাসের বাসিন্দা এবং নেভাডা অঙ্গরাজ্যের অস্ত্র লাইসেন্সধারী
তিনি কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে, তবে হামলার সঙ্গে মানসিক সমস্যার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি।

ঘটনার পর পুরো ভবন লকডাউন করা হয় এবং চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা কেবল নিউইয়র্ক নয়, বিশ্বজুড়ে মানবতাবাদী মানুষ ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad