| চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবি ছাত্রদল নেতা শাওন আটক |
📰 ঢাবি ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা এক ব্যবসায়ীকে গুলশান এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন এবং মোহাম্মদ ইদ্রিসকে (৪৬) আটক করেছে।
🕵️♂️ আটক ও আদালতে হাজিরি
শনিবার গুলশান থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাওন ও ইদ্রিসকে আটক করা হয়। পরে অপহৃত ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদের করা মামলায় শাওন, ইদ্রিসসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়।
নাছির উদ্দিন শাওন ও মোহাম্মদ ইদ্রিসকে শনিবার পুরান ঢাকার সিএমএম কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
📌 ছাত্রদলের নেতারা মন্তব্য করছেন না
ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামিসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাবি ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, “অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য এখনো আমার জানা নেই। হয়তো তাই নেতৃবৃন্দ ফোন ধরছেন না।”
💰 বাদীর অভিযোগ
মামলার বাদী শেখ নাঈম আহমেদ রাজধানীর পান্থপথ এলাকার ‘ট্রিপজায়ান’ নামের ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকালে ব্যবসায়িক কাজে গুলশানে গেলে শাওন ও তার সহযোগীদের হাতে অপহৃত হন।
এজাহারে নাঈম বলেন, ৯ অক্টোবর দুপুরে গুলশান-১ এলাকায় মিটিং শেষে খাওয়া শেষ করার পর বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে শাওন তাকে ফোন করে দুবাইয়ের টিকিট কেনার কথা বলে। কিছুক্ষণ পর শাওন, ইদ্রিস, হেলালসহ ৮–১০ জন তাকে জোরপূর্বক পাশের খলিফাস রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই সময় তার ফোন, ল্যাপটপ ও মানিব্যাগ নিয়ে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা গুলশান লেকপাড়ে মারধর করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিপণ না দিলে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের দিকে নেওয়া হয়। সেখানে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্টে আটকানোর চেষ্টা হলে শাওনসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। যৌথ বাহিনী ইদ্রিসকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
🚫 পুলিশের প্রতিক্রিয়া
ঘটনা সম্পর্কে জানতে গুলশান থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। থানার ডিউটি অফিসার বলেন, “মামলাটি রুজু হয়েছে, তবে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশেও অনিচ্ছুক।”
No comments:
Post a Comment