| আছাদুজ্জামানের সঙ্গে ব্যবসা, ফেঁসে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ বিএনপি নেতা |
📰 সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার পরিবার ও তাদের পাঁচ আত্মীয়ের ২০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগের আনুষ্ঠানিক তদন্তের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শীঘ্রই দুদক তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে মামলা রুজু করবে।
উত্তরা থানা ও খিলগাঁও থানার দুটি পৃথক হত্যা মামলায় আছাদুজ্জামান মিয়া বর্তমানে জেলে রয়েছেন।
📌 তদন্তের বিস্তারিত
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, সাবেক ডিএমপি কমিশনারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষের পথে।
আছাদুজ্জামান মিয়া শেখ হাসিনার শাসনামলে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। বিরোধীদলের আন্দোলন দমনে তিনি লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে অবসর নেওয়ার পরও জাতীয় নিরাপত্তা সেলে বিশেষ দায়িত্বে পদায়ন করা হয়। অবসরকালীন সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে তিনি পৌনে দুই কোটি টাকা পেয়েও তদন্তে ২০০ কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
তার নামে ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও ফরিদপুরে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তিনি উত্তরা, পূর্বাচল, নিকুঞ্জ এলাকায় জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
💼 যৌথ ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা
আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদও ফেসে যাচ্ছেন। পূর্বাচল নতুন শহরের ১৪ নম্বর সেক্টরের ২০২ নম্বর রাস্তার ২৭ নম্বর প্লটসহ উত্তরার কয়েকটি প্রাইভেট বার-এ আছাদুজ্জামান ও আবদুল মজিদের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে।
শ্যামলী ও খিলক্ষেত এলাকায় তাদের যৌথ নামে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। ব্যবসার দেখাশোনা ও লেনদেনের সঙ্গে আবদুল মজিদের শ্যালক মাহমুদ হাসান সম্পৃক্ত। অভিযোগ রয়েছে, আছাদুজ্জামান মিয়া ও আবদুল মজিদ তাদের অবৈধ অর্থ দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন।
📑 আয়কর ও সম্পত্তির তথ্য
দুদক সূত্র জানায়, আছাদুজ্জামান, তার স্ত্রী আফরোজা জামান, তিন সন্তান ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী পার্টনারসহ ৫ জনের স্থাবর-অস্থাবর তথ্য তলব করা হয়েছে।
আয়কর ফাইলে তাদের ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা, তবে তদন্তে দেখা গেছে, পরিবারের সম্পদের বেশির ভাগ তথ্য গোপন করা হয়েছে।
- আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা ঘৃহণী হলেও ২০২৩-২৪ করবর্ষে তিনি ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পত্তির মালিক ঘোষণা করেন। বাস্তবে তার নামে সম্পত্তির পরিমাণ এর কয়েকগুণ বেশি।
- আছাদুজ্জামানের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা তার নামে, আফরোজা মৌমিতা ট্রান্সপোর্টের চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে ৪ হাজার (৪০%) শেয়ার রয়েছে, তবে ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment