‘ফেরত আনা হলো সৌদিতে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর ৩৮ কোটি টাকা’ - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Monday, October 13, 2025

‘ফেরত আনা হলো সৌদিতে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর ৩৮ কোটি টাকা’

‘ফেরত আনা হলো সৌদিতে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর ৩৮ কোটি টাকা’

সৌদি হজ এজেন্সির ৩৮ কোটি টাকা ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | পিপলস বাংলা নিউজ

সৌদি আরবে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন

সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।


ফেরত পাওয়া অর্থের বিস্তারিত

খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন–এ সর্বমোট ৯৯০টি হজ এজেন্সির অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল, যা সবই ফেরত পাওয়া গেছে। এই অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ সৌদি রিয়াল ও ৫৭ হালালা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সমান

তিনি আরও জানান, ফেরত পাওয়া এই অর্থ বাংলাদেশ হজ অফিসের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন থেকে বাংলাদেশ হজ অফিসের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকের হজ সংক্রান্ত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে


এজেন্সি অনুযায়ী অর্থের অবস্থান

৯৯০টি হজ এজেন্সির মধ্যে ৩টি এজেন্সির হিসেবে কোনো অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল না। খালিদ হোসেন বলেন, “৮৩১টি এজেন্সির ব্যাংক হিসাব আছে, তাদের টাকা ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হবে এবং বাকি ১৫৬টি এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য পেলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।”

তিনি বলেন, ফেরত দেওয়া টাকার পরিমাণ একটি এজেন্সির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা, আর সর্বনিম্ন ২ টাকা


অব্যয়িত অর্থ ফেরতের উদ্দেশ্য

উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, “বিগত কয়েক বছরের জমে থাকা অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা এবং সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকে ফেরত দেওয়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০২৫ সালের অনবদ্য হজ ব্যবস্থাপনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ হজযাত্রী বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করেন, যা শতকরা হিসেবে ৯০ শতাংশেরও বেশি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে হজযাত্রীদের খরচ সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মে জমা দেওয়া হয়ে থাকে।


হজ এজেন্সিগুলোর কার্যপ্রণালী

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত ১,৩৩৯টি বাংলাদেশি হজ এজেন্সি গত ৭–৮ বছরে হজের সৌদি পর্বের খরচ নির্বাহের জন্য টাকা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে কিছু টাকা অব্যয়িত ছিল। এ বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলো আমাদের কাছে অনুরোধ জানায়, এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

হজ এজেন্সিগুলোর টাকার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এজেন্সিগুলোর কিছু টাকা বেশি পাঠাতে হয়। হজ যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত নয়। টাকার কমতি যাতে না হয় সেজন্য তারা অতিরিক্ত পাঠায়।”

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

© 2025 Peoples Bangla | All Rights Reserved.
×