| ‘বুকে বল রাখেন’ ইনুকে দীপু মনির সান্ত্বনা |
ট্রাইব্যুনালে ইনু-দীপু মনির কথোপকথনে আলোচনার ঝড়, নতুন তারিখ ৮ ডিসেম্বর
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর কথায় সাহস পান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন,
“চিন্তা করবেন না ভাই, আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।”
“আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না। আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ নিয়ে গেছে।”
তাদের কথার মাঝেই সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলে ওঠেন,
“এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের?”
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কাঠগড়ায় সাবেক এই তিন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মধ্যে এমন কথোপকথন হয়।
এদিন সকালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা ও গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় আনার পর তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়।
বেলা সোয়া ১১টার পর একে একে পুলিশ সদস্যরা তাদের এজলাসে নিয়ে আসে। এসময় অনেককেই একে অপরের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায়।
কাঠগড়ার সামনের সারিতে বসেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তার পাশে আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
মাঝের সারিতে ছিলেন ডা. দীপু মনি, আর তার পেছনে বসেন হাসানুল হক ইনু। জাসদের এই সভাপতির পাশে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
কিছুক্ষণ পর মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় ফের সবাইকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আরও দুই মাস সময় পেয়েছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর।
এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন আরও কয়েকজন সাবেক প্রভাবশালী ব্যক্তি—
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান।
দুপুরে শুনানি শেষে তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে, গত ২০ জুলাই চিফ প্রসিকিউটর তদন্তে আরও তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন, যা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করে। আজ প্রতিবেদন দাখিলের দিন থাকলেও তা জমা না দেওয়ায় আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়।
No comments:
Post a Comment