| সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ ‘ইন্টেরিম’ |
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ১৩ বছরেও রহস্য উন্মোচন হয়নি
লিড (Lead):
ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির ২০১২ সালের হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও উদঘাটন করা যায়নি। পিবিআই, র্যাব ও ডিবি সহ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়েও খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি। হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত যেমন ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা যায়নি।
পটভূমি (Background):
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি ফ্ল্যাটে নিহত হন মাছরাঙা টিভির সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ বাসায় উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তের অগ্রগতি (Investigation Status):
প্রাথমিকভাবে ডিবি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও ৬২ দিনের মধ্যে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়নি। এরপর র্যাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। র্যাবও দীর্ঘদিন তদন্তের পর কোনো নির্দিষ্ট খুনিচক্রকে শনাক্ত করতে পারেনি।
পিবিআইয়ের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স মামলা পুনঃতদন্ত করেছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, সাগর-রুনির বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে দুই ব্যক্তি প্রবেশ করেছে। তবে খুনিদের পরিচয় এবং হত্যার মোটিভ এখনও অজানা। যুক্তরাষ্ট্রের PARABON Nanolabs-এ ডিএনএ পরীক্ষা করেও খুনিদের ছবি তৈরিতে অসফলতা হয়েছে।
পরিবার ও সাক্ষ্য (Family & Witnesses):
মেঘ জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় খুনিরা তার উপরও আঘাত করার চেষ্টা করেছিল। সাগর-রুনির পরিবারের কাছে দীর্ঘ এই সময় আশা ও হতাশার মিশ্র অনুভূতি রয়েছে। পরিবার এখনও দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রভাবশালী কোনো চক্র জড়িত থাকতে পারে।
আদালত ও প্রতিবেদন (Court & Reports):
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর ধার্য আছে। এ পর্যন্ত ১২১ বার সময় নেওয়া হয়েছে। আদালত পিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজিজুল হক জানিয়েছেন, তদন্ত এখনও চলমান এবং কোনো নির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই।
উপসংহার (Conclusion):
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড দেশের সাংবাদিক সমাজে গভীর শোক এবং আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ১৩ বছর পরও হত্যাকারীরা সনাক্ত হয়নি। মামলাটি সম্ভবত ‘অমীমাংসিত হত্যা মামলা’ হিসেবে ইতিহাসে থাকবে।
No comments:
Post a Comment