চাঁদা না দেয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ২ বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ |
📰 পাবনায় যুবদল নেতা-সহযোগীদের বিরুদ্ধে গুলির অভিযোগ, দুই বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ
পাবনায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা আব্দুস সালাম প্রামাণিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দুই বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ এবং একজন আহত হয়েছেন।
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ওসি আবদুস সালাম।
গুলিবিদ্ধরা হলেন:
- শেখ শফি (চরতারাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি)
- টিক্কা খান (দাসপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা)
আহত:
-
মালয়েশিয়া প্রবাসী আবুল কাশেম বিশ্বাস
অভিযুক্তরা:
- আব্দুস সালাম প্রামাণিক (চরতারাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক)
- তনসের মোল্লা
- শামীম বিশ্বাস
ঘটনার বিবরণ
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাশেম বিশ্বাস, শেখ শফি ও টিক্কা খান স্কুলের সামনে বসে ছিলেন। হঠাৎ আবদুস সালামের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি চালায়। প্রথমে শেখ শফি গুলিবিদ্ধ হন, আধা ঘণ্টা পর টিক্কা খানকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আহতদের প্রাথমিকভাবে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; শেখ শফিকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী আবুল কাশেম বিশ্বাস অভিযোগ করেন, চলতি মাসের ৫ তারিখে বাড়িতে ফিরে আসার পর যুবদলের নেতারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হামলা চালানো হয়। তিনি উল্লেখ করেন, সালাম প্রামাণিকের নেতৃত্বে এই চক্র সালিশী বাণিজ্য, অবৈধ বালু ব্যবসা, মাদক কারবার, জমি দখল ও চাঁদাবাজি চালাচ্ছে।
অভিযুক্ত আব্দুস সালাম প্রামাণিক দাবি করেন, তিনি কোনো অপরাধে জড়িত নন এবং তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
পাবনা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনির হোসেন বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হবে এবং সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাবনা সদর থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, হামলার পেছনে প্রবাসে থাকা আবুল কাশেমের সঙ্গে যুবদল নেতাদের মতবিরোধ এবং বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিল। শটগানের দুটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
No comments:
Post a Comment