| ধর্ষণকাণ্ডে খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা-সহিংসতা, নিহত ৩ |
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ডাকা অবরোধ চলাকালে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকটি দোকান ও বসতঘর পুড়ে যায়। একই সঙ্গে কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে অবরোধ ডাকা হয়। দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এতে অন্তত ছয়জন আহত হন। তবে পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারের দোকানপাট ও বাইরের কিছু স্থাপনা আগুনে জ্বলছে। বাজারের অধিকাংশ দোকানের মালিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর।
রোববার ভোর ৫টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবরোধ শুরু হয়। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে বড় বড় গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদ্যগুদামের সামনে সড়কে প্রতিবাদ করছিলেন অবরোধকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলির শব্দ শুনে বাজারের লোকজন পালিয়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন মুখোশধারী ব্যক্তি বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেন, দিনভর সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজন মারা যান। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং অন্যান্য বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে একটি পক্ষ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের মিলেমিশে থাকতে হবে।”
No comments:
Post a Comment