পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের সমিতি হলে, হাসিনা হবেন সভাপতি: অ্যাটর্নি জেনারেল |
People’s Bangla
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কড়া বক্তব্য দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন,
“মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছেই শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি।”
আদালতে দৃপ্ত ভাষণে ন্যায়বিচারের প্রত্যয়
রোববার (৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য দেওয়ার আগে এমন মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমরা এই স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। গুম-খুনের মতো পলিটিক্যাল কালচার আর ফিরে আসুক না। এমন এক বিচার দরকার, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুনের সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করবে।”
মুক্তিযুদ্ধের নামে দুর্নীতির অভিযোগ
তিনি অভিযোগ করে বলেন,
“মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এই দেশে গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও টাকা পাচার হয়েছে। আর এই অনাচারের বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।”
আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়: চিফ প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন,
“এই বিচার কোনো রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন।”
তিনি আরও বলেন,
“আসামিদের অনুপস্থিতি বিচার বাধাগ্রস্ত করবে না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পলায়ন করেছে। বিদেশি কোনো রাষ্ট্র তাদের রক্ষা করতে পারবে না।”
পটভূমি:
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment