সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় সাংবাদিকসহ সাত খুন |
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় সাংবাদিকসহ সাতজনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, শোক ও উৎকণ্ঠায় জনতা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ছয়টি জেলায় ঘটে গেছে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এতে একজন সাংবাদিকসহ ব্যবসায়ী, চালক, যুবক ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও অনেক ঘটনায় এখনও রহস্য অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুরে সাংবাদিকের নির্মম হত্যা
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দৈনিক প্রতিদিনের গাজীপুর প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাটি ধারণ হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে গাজীপুর বাসন থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ পাঁচজনকে আটক করলেও অস্ত্রধারী মূল আসামিদের ধরতে পারেনি।
মৌলভীবাজারে দোকানিতে ব্যবসায়ীর খুন
মৌলভীবাজার শহরের শমশেরনগর রোডে এক ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান রুবেলকে তার নিজ দোকানে তিন-চারজন মুখোশধারী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
সিলেটে যুবকের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু
সিলেট নগরীর ক্বীনব্রীজ এলাকায় এক যুবক ডালিমকে অন্ধকার রাতে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নাটোরে প্রাইভেটকার চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নাটোরের লালপুর-গোপালপুর সড়কের পাশে প্রাইভেটকার চালক সাইদুর রহমানের গলাকাটা মরদেহ ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন যাত্রী তওহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুরে পরিত্যক্ত ট্রাভেল ব্যাগ থেকে মাথাবিহীন মরদেহ
টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে উদ্ধার হয় এক মাথাবিহীন মরদেহ। পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম মো. ওলি। হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতরা এখনও অধরা।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে গলাকাটা মরদেহ
ফটিকছড়ির আদর্শ গ্রাম থেকে কবিরাজ মো. মনছুর বৈদ্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার ঘরের দরজায় তালা ছিল। পরিবারের দাবি, কিছু লোক তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
কুমিল্লায় নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নির্মাণ শ্রমিক ফারুক মুনসীর মরদেহ পায় পুলিশ। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিনে এই ধরনের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। অধিকাংশ ঘটনার পেছনে স্পষ্ট মোটিভ না পাওয়া এবং আসামিদের ধরা না পড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
No comments:
Post a Comment