রসুলুল্লাহ (সা.) উত্তম চরিত্র নিয়ে যা বলেছেন |
📍 ইসলাম ও সমাজ | People's Bangla ডেস্ক
✍️ রিপোর্ট: পবিত্র হাদিস ও নবিজীর জীবনের আলোকে প্রণোদিত একটি পাঠ
পবিত্র ইসলাম ধর্মে উত্তম চরিত্রের মর্যাদা অপরিসীম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবন ছিল একটি চলমান কোরআন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেন—
“রসুলুল্লাহর চরিত্র ছিল কোরআন।”
তিনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, যা তাঁর সাহচর্যে থাকা প্রত্যেক সাহাবি গভীরভাবে অনুভব করেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন—
“আমি দশ বছর নবিজির খেদমত করেছি, তিনি একবারও কোনো কাজে 'উহ' বলেননি।” (সহিহ মুসলিম)
🌟 উত্তম চরিত্রের পরিচয় কী?
ইসলামী শিক্ষায় উত্তম চরিত্র মানে:
- হাসিমুখে কথা বলা
- মানুষকে কষ্ট না দেওয়া
- সহানুভূতিশীল ও পরোপকারী হওয়া
- ভদ্র ও বিনয়ী আচরণ
📖 হাদিসের আলোকে উত্তম চরিত্রের গুরুত্ব
➤ “মুমিনদের মধ্যে সবচেয়ে পূর্ণ ঈমানদার সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র উত্তম।”
– তিরমিজি, ১১৬২
➤ “আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সেই, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।”
– ইবনে মাজাহ, ৩৪৩৬
➤ “যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করো, পাপ করলে পুণ্য দ্বারা মোচন করো এবং মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করো।”
– তিরমিজি, ১৯৮৭
🏆 উত্তম চরিত্রের প্রতিদান কী?
➤ “কেয়ামতের দিনে নেকি ওজনের পাল্লায় উত্তম চরিত্রের চেয়ে ভারী কিছু থাকবে না।”
– তিরমিজি, ২০০৩
➤ “কে বেশি জান্নাতে যাবে?” – জবাব: “আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র।”
– তিরমিজি, ২০০৪
➤ “আমি জান্নাতের সর্বোচ্চ অংশে ঘর দান করব সেই ব্যক্তিকে, যার চরিত্র উত্তম।”
– আবু দাউদ, ৪৮০২
➤ “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ও কেয়ামতের দিন আমার নিকটতম হবেন তারা—যাদের চরিত্র শ্রেষ্ঠ।”
– তিরমিজি, ২০১৮
💡 উপসংহার:
রসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানবজাতির জন্য এক পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। উত্তম চরিত্র অর্জন শুধু একজন ভালো মুসলিম হওয়ার শর্তই নয়, বরং জান্নাতের এক সরল পথ।
No comments:
Post a Comment