মায়ের চোখের ডাক্তার দেখানো হলো না তুহিনের, এলাকাজুড়ে শোক |
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় ফুলবাড়িয়ায় শোকের মাতম
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বাধীনচেতা ও প্রতিবাদী এই সাংবাদিককে ভালোবাসতেন গ্রামের সকল মানুষ। রাজনীতি কিংবা অযথা আড্ডা—কোনো কিছুর সঙ্গেই তার সম্পর্ক ছিল না।
শুক্রবার সকালে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন ও বাবা হাসান জামাল অসহায়ভাবে বিলাপ করছেন। তুহিনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
"কালকেও আমার ছেলে বলেছিল, ‘আম্মা, আগামী মাসে তোমাকে চোখের ডাক্তার দেখাবো, চিন্তা করো না।’ কিন্তু এখন আমার খোঁজ নেবে কে?"
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১২ সাল থেকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তুহিন একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পেশাগত কারণে তিনি স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান তৌকির (৭) এবং ফাহিম (৩)-কে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করতেন। এখন এই দুই শিশু পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে ফুলবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে স্থানীয় সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ মাগরিবের নামাজের পর ফুলবাড়িয়া ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তুহিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
No comments:
Post a Comment