নাশকতার প্রশিক্ষণদাতা মেজর সাদেকের স্ত্রীও হাসিনার ঘনিষ্ঠ |
📍 People’s Bangla প্রতিবেদক | ৪ আগস্ট ২০২৫ | ঢাকা
রাজধানীর বসুন্ধরায় গোপন বৈঠকে আওয়ামী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মেজর সাদেকুল হক সাদেক এবং তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। স্বামী-স্ত্রী মিলে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে নাশকতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে মেজর সাদেক সেনা হেফাজতে থাকলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
🔍 ঘনিষ্ঠ আওয়ামী পরিবারে বিয়ে ও নাশকতার ষড়যন্ত্র
সাদেকের শ্বশুর মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর হারুন ছিলেন শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হাসিনার পা ছুঁয়ে সালামের ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেখ হাসিনার পলাতক সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল জাহাঙ্গীরের।
🧠 গোপন প্রশিক্ষণ ও সিগন্যাল অ্যাপে ক্যাডার সংগঠন
মার্চ থেকে সাদেক ও সুমাইয়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৪৫০ জনের বেশি আওয়ামী ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেন।
তারা Signal অ্যাপে "ODB" নামের একটি গ্রুপ তৈরি করেন, যেখানে সদস্যদের ইউনিক কোড দিয়ে সংগঠিত করা হয়। এই গ্রুপে অন্তত দুই হাজার সদস্য রয়েছে।
🧾 কে বি কনভেনশন সেন্টারে দিনভর প্রশিক্ষণ
গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার পাশের KB Convention Center-এ দুই ধাপে প্রায় ৪৫০ নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেন মেজর সাদেক ও সুমাইয়া।
এই প্রশিক্ষণে অনলাইনে গুজব ছড়ানো, সশস্ত্র সংগঠনের পরিকল্পনা, কোডের মাধ্যমে যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
👥 গ্রেপ্তার ৩০ জন, প্রশিক্ষণে সহায়তাকারীর তালিকায় ছাত্রলীগ নেতারাও
ডিবি ও পুলিশের অভিযানে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন:
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শরীফ হাসান অনু,
- বরগুনার সোহেল রানা,
- মেহেরপুরের সাজ্জাদুর রহমান,
- নরসিংদীর ইমরান,
- শ্যামল,
- ফারুক হোসেন।
🕵️♂️ রাজধানীজুড়ে আরও চার স্থানে প্রশিক্ষণ
পুলিশ জানায়, বসুন্ধরা ছাড়াও নিচের জায়গাগুলোতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়:
- কাঁটাবনের এক রেস্টুরেন্ট
- মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বেজমেন্ট
- পূর্বাচলের সি-শেল রিসোর্ট
- ঢাকার একটি সুরক্ষিত স্থান
🎤 বিশ্লেষকদের মত
সামরিক বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেলাল উদ্দিন বলেন,
“নাশকতার প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকায় মেজর সাদেককে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া উচিত।”
No comments:
Post a Comment