| ছাত্ররাজনীতি ভীতি দূর করার কাজ করছে শিবির: জাহিদুল ইসলাম |
শিক্ষা সংস্কারে ৩০ দফা প্রস্তাব দিল ছাত্রশিবির
শিক্ষা সংস্কারে একটি স্বাধীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কমিশন গঠন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আলাদা কমিশন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণসহ ৩০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এই প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক মূল্যবোধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা, নারী শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং গবেষণার প্রসারে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—
- ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সমন্বয়ে আধুনিক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন।
- বহুমাত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ নিশ্চিতকরণ।
- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) শিক্ষায় অগ্রাধিকার প্রদান।
- শিক্ষা বাজেটে অগ্রাধিকার বরাদ্দ।
- শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক স্কুলিং ব্যবস্থা প্রবর্তন।
- উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা আইন প্রণয়ন।
- স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশন গঠন।
- নারী শিক্ষার প্রসারে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
- শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
- শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত ও ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ।
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও কাউন্সেলিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
- শিক্ষার্থী-বান্ধব শিক্ষাঙ্গণ বাস্তবায়ন।
- যোগ্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ গঠন।
- গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
- মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন।
- কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন।
- মূল্যায়ন পদ্ধতির সংস্কার।
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ কাঠামোর আধুনিকায়ন।
- শিক্ষক মূল্যায়নের কার্যকর পদ্ধতি প্রবর্তন।
- চাকরিতে সমান সুযোগ ও ন্যায়ভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ।
- ছাত্ররাজনীতির যথাযথ চর্চা নিশ্চিত করা।
- নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন।
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
- পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস।
- উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নয়ন ও সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণ।
- শিক্ষা সংস্কারে একটি স্বাধীন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কমিশন গঠন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এই ৩০ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মৌলিক ত্রুটি দূর হবে এবং সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে উঠবে।”
সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment