‘পালায় না’ বলেই পালিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা |
পালানোর অঙ্গীকারভঙ্গ! ৫ আগস্ট হঠাৎ দেশত্যাগে হতবাক আওয়ামী অঙ্গসংগঠন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল এক নাটকীয় দিন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন—এমন খবরে বিস্মিত হয়ে পড়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন।
“শেখ হাসিনা পালায় না”—বক্তব্যের কয়েকদিন পরই দেশত্যাগ
তার কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, “শেখ হাসিনা পালায় না, পালাতে জানে না।”
এমনকি চীন সফর শেষে ১৪ জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলনেও এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
তবে ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায়, তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়।
‘মার্চ টু ঢাকা’র আগেই কারফিউ
এর ঠিক আগের দিন, ৪ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে কারফিউ জারি করেন।
তবে কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নামে লাখো মানুষ। গণআন্দোলনের চাপে এবং নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় হঠাৎ দেশত্যাগ করেন তিনি—এমনটাই জানিয়েছেন আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা।
দলীয় শীর্ষ নেতারাও জানতেন না?
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী দাবি করছেন, শেখ হাসিনার হঠাৎ দেশত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, এমনকি অনেকে নিজ দলের নেতারাও বিষয়টি জানতেন না।
আগেও বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ পালায় না”
এর ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কৃষক লীগের এক অনুষ্ঠানেও শেখ হাসিনা বলেছিলেন,
“শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নি কখনও।”
এই বক্তব্যের বাস্তবতার সঙ্গে পাঁচ আগস্টের ঘটনার সাংঘর্ষিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
No comments:
Post a Comment