বাংলাভাষী মুসলিমদের আ’টক ও পুশব্যাক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওয়াইসির তীব্র ক্ষো’ভ - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Monday, July 28, 2025

বাংলাভাষী মুসলিমদের আ’টক ও পুশব্যাক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওয়াইসির তীব্র ক্ষো’ভ

 

বাংলাভাষী মুসলিমদের বাংলাদেশে পুশব্যাক নিয়ে সরব ওয়াইসি

🧭 বাংলাভাষী মুসলিমদের আটক ও পুশব্যাক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওয়াইসির তীব্র ক্ষোভ

People’s Bangla আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার

অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবারও সরব হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মুসলিমদের বেআইনিভাবে আটক করে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়া হচ্ছে এবং পরে তাদের জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে।

🔹 পরিকল্পিত নিপীড়নের অভিযোগ

সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেয়া এক পোস্টে ওয়াইসি বলেন,

“এই সরকার শক্তের কাছে দুর্বল, দুর্বলের কাছে শক্ত। সংখ্যালঘু ও দরিদ্র শ্রেণির উপর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।”

তার ভাষ্য, আটক হওয়া অধিকাংশ মানুষই ভারতের নাগরিক, যারা নিম্ন আয়ের পেশা— নির্মাণশ্রমিক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী কিংবা সড়কের আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আইনি লড়াই করার মতো ক্ষমতা না থাকায় প্রশাসন তাদের দুর্বলতাকে পুঁজি করে টার্গেট করছে।

🔹 ‘বাংলাভাষা মানেই বাংলাদেশি’— এই মনোভাবের সমালোচনা

ওয়াইসি বলেন, “কেবল কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা যায় না, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী।”
তিনি গুরুগ্রামের জেলা প্রশাসকের একটি নির্দেশনার কথা তুলে ধরে বলেন, সেখানে ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ও ফেরত পাঠাতে এসওপি মেনে চলার নির্দেশ’ ভাষাভিত্তিক বৈষম্যকে উসকে দিচ্ছে।

🔹 পুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন

সম্প্রতি পুনে শহরের বুধওয়ার পেঠ এলাকার একটি রেড লাইট জোনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাঁচ নারীকে গ্রেপ্তার করে, যাদের বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র ও মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াইসি প্রশ্ন তোলেন,

“কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কি হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘অবৈধ’ ঘোষণার ভিত্তি হতে পারে?”

🔹 ‘ব্যাকডোর এনআরসি’ তত্ত্ব

ওয়াইসির ভাষ্য, এইসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ‘ব্যাকডোর এনআরসি’ (গোপন উপায়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন,

“বন্দুকের মুখে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া যায় না। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad