🚨 সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে শাস্তির বিধান: বাধ্যতামূলক অবসর বা চাকরিচ্যুতি হতে পারে
সরকারি চাকরি আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সরকার। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যাতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন, কর্তব্যে বাধা দেওয়া বা কাজে অনুপস্থিতির মতো কর্মকাণ্ডকে “অসদাচরণ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
📌 কী বলা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে?
🔸 কোনো সরকারি কর্মচারী যদি
- ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন
- নিজেরা কাজ থেকে বিরত থাকেন বা অন্য সহকর্মীকেও কাজ থেকে বিরত রাখেন
- কারো কর্তব্য পালনে বাধা দেন
তবে তা হবে “সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ” — যার জন্য তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে:
- নিম্নপদে অবনমিত করা
- বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান
- চাকরি থেকে বরখাস্ত
📋 শুনানির নিয়ম কী?
অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। চাইলে তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।
🛑 আপিল করা যাবে না
এই আইনের অধীনে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। তবে শাস্তি পাওয়া কর্মচারীরা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
📜 এই অধ্যাদেশটি "সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫" নামে জারি হয়েছে।
No comments:
Post a Comment