একটি দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে: সেনাবাহিনী |
🟥 নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের প্রশিক্ষণের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
📍 People’s Bangla | ৩১ জুলাই ২০২৫, ঢাকা সেনানিবাস
একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
🎖️ তদন্তাধীন সেনা কর্মকর্তা
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জানান, “মেজর সাদিক নামের এক কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন”—এমন অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত চলছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রচলিত সেনা আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, তাই তদন্ত চলাকালে বিস্তারিত মন্তব্য করা সমীচীন নয়।”
🏞️ পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি
ব্রিফিংয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। তিনি জানান, ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, “কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) একটি সশস্ত্র সংগঠন, যারা আরাকান আর্মির কাছ থেকে অস্ত্র নিচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। দুই গোষ্ঠী একই গোত্রভুক্ত এবং মানসিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।”
তবে, তিনি আশ্বস্ত করেন, “কেএনএফ পার্বত্যাঞ্চলে কোনোভাবেই আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না।”
⚖️ কোনো পক্ষপাত নেই: সেনাবাহিনী
মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সেনাবাহিনীর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাত নেই।”
তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের জীবননাশের আশঙ্কা থাকায় সেনাবাহিনী কেবল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। রাজনৈতিক সহায়তা নয়, বরং জীবন রক্ষা আমাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যথাযথ দায়িত্ব পালন না করলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারত।”
No comments:
Post a Comment