ব্যবসায়ীদের থেকে আগে ১ লাখ টাকা ঘু’স নিলে এখন নিচ্ছে ৫ লাখ: মির্জা ফখরুল |
💬 “আগে ১ লাখ, এখন ৫ লাখ ঘুষ নিচ্ছে”—ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন মির্জা ফখরুল
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘুষ-দুর্নীতি আরও বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, এক সময় যে কাজে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন তার জন্য গুণতে হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।
শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি। ড. হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
🗣️ “ঘুষ ১ থেকে ৫ গুণ বেড়েছে”—বড় ব্যবসায়ীর অভিজ্ঞতা
মির্জা ফখরুল বলেন,
“গতকাল একজন বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, ‘আগে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো, এখন দিতে হচ্ছে পাঁচ লাখ।’ আমি জানি না, আপনারা বিষয়টি কীভাবে দেখবেন, কিন্তু এটি বাস্তবতা।”
🚔 “পুলিশ এখনো আগের জায়গায় আছে”
তিনি আরও বলেন,
“পুলিশের কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বরং আগের তুলনায় তারা আরও সুযোগ নিচ্ছে। এখন সেবা নিতে গেলে তারা কখনো মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, কখনো আদালতে—দায়িত্ব এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা বিগত সরকারের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিল। এই বাস্তবতা রাতারাতি বদলে যাবে—এমন আশা করা যায় না।”
🏛️ “গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই হবে, সংস্কার জরুরি”
বিএনপি মহাসচিব বলেন,
“গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আগাতে হবে। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“রাষ্ট্র কাঠামোয় গুণগত পরিবর্তন আনা দরকার। অর্থনৈতিক কাঠামোও পরিবর্তনের দাবি রাখে। তবে এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে।”
🌍 “ট্রাম্পের ট্যারিফ বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে”
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন,
“মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ট্যারিফ আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।”
📚 অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রন্থকার ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
No comments:
Post a Comment