| নির্বাচন যত দ্রুত হবে জামায়াতে ইসলামী ততই উপকৃত হবে |
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, “নির্বাচন যত দ্রুত হবে, জামায়াতে ইসলামী ততই উপকৃত হবে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না, করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ৫ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে এখনো পাঁচ মাস সময় রয়েছে—এই সময়ের মধ্যেই ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব।”
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবন (বাটা সিগন্যাল) এলাকায় ঢাকা-১০ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “৫ দফা বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী যারাই সরকার গঠন করবে, তারা আবারও ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। একটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, কারণ তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। পিআর পদ্ধতি কার্যকর হলে তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও একদলীয় শাসন বজায় রাখতে পারবে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই কারণে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে সহযোগিতা করছে না। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোও যথাযথ ভূমিকা রাখেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না পেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জুলাই যোদ্ধারা।”
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হলে জাতি পাবে নতুন বাংলাদেশ। নতুবা দেশ আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং দিক হারাবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির বিকল্প নেই। প্রচলিত পদ্ধতিতে এক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী নির্ধারণ হয়, অথচ লাখো ভোটারের মতামত অগ্রাহ্য হয়।
তার ভাষায়, “প্রচলিত পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না, জনগণের সরকার গঠিত হয় না। পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হয় এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের সংসদ ও সরকার গঠিত হয়।”
তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে একদলীয় শাসনের সুযোগ থাকে না। যারা এখন পিআর বুঝে না বলে দাবি করছে, সময়ের ব্যবধানে তারাই পিআরের জন্য আন্দোলন করবে।”
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে, তারা আসলে আবারও একনায়কতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়। মিডিয়ার সামনে তারা নীতি ও সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে তাদের আদর্শের সঙ্গে কোনো মিল নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে দুই বছর পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলা আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যদি বাস্তবায়নে আপত্তি থাকে, তবে ক্ষমতায় গিয়ে তা করবে কীভাবে? জাতির সামনে তাদের এর জবাব দিতে হবে।”
No comments:
Post a Comment