| ওয়ারেন্টভুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে কারা পালিয়েছেন, কারা হেফাজতে আছেন |
গুম, খুন ও গণহত্যার তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গুম, খুন ও গণহত্যার তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এর মধ্যে দুইজন বর্তমান কর্মরত মেজর জেনারেল রয়েছেন। তাদের একজন মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন, যিনি বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন। অপরজন মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, শেখ হাসিনার সাবেক মিলিটারি সেক্রেটারি, যিনি বর্তমানে পলাতক।
বিজ্ঞাপন
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও মেজর জেনারেলদের বেশিরভাগই পালিয়ে গেছেন। পালাতক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—
শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদীন, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, এবং মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম— যিনি ডিজিএফআই-এর সাবেক পরিচালক।
এদের মধ্যে লে. জেনারেল (অব.) আকবর ভারতে পালিয়ে আছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাকি জেনারেলদের অবস্থান এখনও অজানা।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের দুই মামলায় গত ৮ অক্টোবর ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৭ জন এবং অন্য মামলায় ১৩ জন আসামি। দুটি মামলাতেই শেখ হাসিনা ও তারিক সিদ্দিক সাধারণ আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মোট আসামির সংখ্যা ২৮ জন, যার মধ্যে ২৩ জন সেনা কর্মকর্তা।
এছাড়া, ট্রাইব্যুনালে একই দিনে জুলাই গণহত্যায় রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা আরেক মামলায় আরও ৪ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জন সেনা কর্মকর্তা— লে. কর্নেল রিদওয়ান ও লে. কর্নেল মুন, যারা বিজিবির কর্মকর্তা। অপর দুইজন পুলিশের সদস্য।
শনিবার সেনাসদরের ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল (অ্যাডজুটেন্ট) মো. হাকিমুজ্জামান জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১৫ জন চাকরিরত এবং একজন এলপিআর-এ আছেন। কর্মরত ও এলপিআর-এ থাকাদের মধ্যে শুধু একজন, সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, পলাতক। বাকি সবাই সেনা হেফাজতে আছেন।
যে ১৫ জন কর্মকর্তাকে বর্তমানে সেনা হেফাজতে রাখা হয়েছে, তারা হলেন—
১️⃣ মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন (সাবেক পরিচালক, সিটিআইবি ও ডিজিএফআই)
২️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী
৩️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী
৪️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
৫️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
৬️⃣ কর্নেল কে এম আজাদ (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
৭️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
৮️⃣ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
৯️⃣ কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
🔟 কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, র্যাব)
১️⃣ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম (সাবেক পরিচালক, ইন্টেলিজেন্স উইং, র্যাব)
২️⃣ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল (সাবেক পরিচালক, ইন্টেলিজেন্স উইং, র্যাব)
৩️⃣ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন (সাবেক পরিচালক, ইন্টেলিজেন্স উইং, র্যাব)
৪️⃣ লে. কর্নেল রিদওয়ান (বিজিবি)
৫️⃣ লে. কর্নেল মুন (বিজিবি)
No comments:
Post a Comment