| রিজিকের ফয়সালা একমাত্র আল্লাহর |
রিজিক: আল্লাহর নেয়ামত, পরীক্ষার উপায় ও সন্তুষ্টির চাবিকাঠি
দিনের শুরু থেকে আমরা জীবিকার জন্য ছুটে চলি। রিজিকের কথা উঠলেই আমরা অধিকাংশ সময় ধন-সম্পদ, অর্থ-বিত্ত ও বৈভবকেই বুঝি। কিন্তু আসলে রিজিক শুধু সম্পদ বা টাকা-পয়সার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
রিজিকের স্তরসমূহ
-
সর্বনিম্ন স্তর 👉 অর্থ, টাকা-পয়সা ও ধন-সম্পদ।
-
সর্বোচ্চ স্তর 👉 শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
-
সর্বোত্তম স্তর 👉 পুণ্যবান স্ত্রী, নেক সন্তান।
-
পরিপূর্ণ স্তর 👉 মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
কোরআন ও হাদিসে রিজিক
আল্লাহ বলেন,
“এবং তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন যার উৎস সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট।”
(সুরা আত-ত্বালাক, আয়াত ৩)
রাসুল (সা.) বলেছেন,
“যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করতে, তবে তিনি তোমাদেরকে পাখির মতো রিজিক দিতেন। পাখি সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বের হয়, আর সন্ধ্যায় তৃপ্ত হয়ে ফিরে আসে।”
(মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)
রিজিক আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ বলেন,
“অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব— কখনো ভয়ভীতি, কখনো অনাহার, কখনো জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতি ও সন্তানহানির মাধ্যমে। আর তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।”
(সুরা বাকারা, আয়াত ১৫৫)
রাসুল (সা.) বলেছেন,
“ধন-সম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও তাতে বিলম্ব হয়।”
(সুনানে ইবনে মাজাহ)
রিজিক শুধু সম্পদ নয়
রিজিক মানে কেবল খাদ্য বা অর্থ নয়— বরং জীবনের সব উপকরণ। সবাইকে আল্লাহ সমানভাবে রিজিক দেন না। তিনি বলেন,
“যদি আল্লাহ তাঁর সব বান্দাদের প্রচুর রিজিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। তাই তিনি নির্ধারিত পরিমাণেই রিজিক দান করেন।”
(সুরা শুয়ারা, আয়াত ২৭)
কর্মের সঙ্গে রিজিকের সম্পর্ক
আল্লাহ বলেছেন,
“অতঃপর যখন জুমার নামাজ শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান কর, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর।”
(সুরা জুমু’আহ, আয়াত ১০)
অতএব, শুধু আল্লাহ খাওয়াবেন বলে বসে থাকা চলবে না। রিজিক আল্লাহর হাতে হলেও তা অর্জনের জন্য বৈধ কর্ম করতে হবে।
No comments:
Post a Comment