| চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল জালিয়াতির তদন্তে দুদক |
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল জালিয়াতির তদন্তে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুর ১২টার দিকে দুদকের একটি টিম শিক্ষা বোর্ডে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রোগ্রামারের দপ্তরসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাদ ইমরান।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে তারা বোর্ড থেকে বের হয়ে যান।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, “দুদক কর্মকর্তারা আমার কাছে জানতে চান ফলাফল জালিয়াতির ঘটনা কখন জানতে পেরেছি এবং তদন্ত কমিটি কবে করেছি। আমি জানিয়েছি, ৩১ আগস্ট ঘটনাটি জানতে পারি এবং ২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করি। কমিটি সাত দিনের সময় পেলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি। পরে তাদের অনুরোধে আরও ১৫ দিনের সময় দিই।”
দুদকের সহকারী পরিচালক সাদ ইমরান জানান, ১৯ জন শিক্ষার্থীর ৩৪টি খাতায় ফলাফল জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। খাতায় ও টপশিটে সঠিক নম্বর থাকলেও অনলাইনে ইনপুট দেওয়ার সময় নম্বর বাড়ানো হয়। বিশেষ করে প্রোগ্রামার আব্দুল মালেক ও সহকারী প্রোগ্রামার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বোর্ডে সিস্টেম অ্যানালিস্ট না থাকায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিকাশ নামে একজন সিস্টেম অ্যানালিস্ট আনা হয় ৭ সেপ্টেম্বর। তিনি প্রথমে অনিয়ম শনাক্ত করেন এবং চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানান।”
দুদক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বোর্ডের ভেতরের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে জালিয়াতি চালিয়ে আসছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। সব তথ্য-প্রমাণ কমিশনে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে এবং কমিশনের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment