| আওয়ামী ফ্যাসিবাদে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ: তারেক রহমান |
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে তারেক রহমানের বাণী: গণতন্ত্রের অবরোধ ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বলেন, গত দেড় দশক ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ। দেশের জনগণ বন্দী রাখা হয়েছিল, আর গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সংরক্ষণে যেকোনো প্রচেষ্টা পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মূল কিছু অংশ
তিনি বলেন, “২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে গণতন্ত্রের সারবত্তা ও অন্তর্নিহিত শক্তি তুলে ধরার বিশেষ দিন।”
তারেক রহমান শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শহীদ ও আহতদের, এবং সারাবিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে। তার দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো—মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্য।”
তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এজন্যই তাকে বিভিন্ন স্বৈরতান্ত্রিক আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বারবার স্বৈরতন্ত্রের হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস—এসব অনাচার সরকারের মাধ্যমে ঘটেছে।”
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ২০২৫: লিঙ্গ সমতার গুরুত্ব
তিনি বলেন, “এবারের দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘Achieving Gender Equality Action by Action’। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য কোনো লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এটি মূল মানবাধিকার।”
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান
তারেক রহমান বলেন, “জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ভয়ংকর স্বৈরশাসনের পতন ঘটেছে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। এর ভিত্তি হবে—অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।”
তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন, “ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে থাকবে সমৃদ্ধি, স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।”
No comments:
Post a Comment