সংবিধানের উপরে সনদকে স্থান দেওয়া যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ |
সংবিধান সংশোধন সংসদের মাধ্যমেই হতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধানের ঊর্ধ্বে কোনো সনদ থাকতে পারে না এবং সংবিধান সংশোধন সংসদের বাইরে থেকে করা যাবে না। বিএনপি কখনোই এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা আইনি পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কোনো সনদ বাস্তবায়ন চায় না।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “জাতির কাছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়া ঠিক হবে না যা কয়েকদিন পর টিকবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে জাতীয় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই ঐক্যমত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তোলে—যদি আইনি ভিত্তি না থাকে তবে তারা সনদে স্বাক্ষর করবে কি না। সে কারণে পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে আইনি কাঠামো তৈরির আলোচনা শুরু হয়।
তিনি প্রস্তাব দেন, সনদে স্বাক্ষরিত দলিল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করা এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে উল্লেখ করা হলে তা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ হবে। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা সংসদে গিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।
আইনি ভিত্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গ্যারান্টি কোথায়—এ প্রশ্ন আসতেই পারে। এজন্য চাইলে অ্যাপিলেট ডিভিশনের মতামত নেওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ এলে বলা যাবে, বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল।”
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে একে অপরের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ না করার আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, বিচারও চলবে। কিন্তু নির্বাচনের সঙ্গে এসব যুক্ত করলে জাতির ক্ষতি হবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। যদি এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তবে তা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে।
No comments:
Post a Comment