খাগড়াছড়ি ইস্যুর নেপথ্যে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Sunday, September 28, 2025

খাগড়াছড়ি ইস্যুর নেপথ্যে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে

খাগড়াছড়ি ইস্যুর নেপথ্যে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দাবি সুপ্রদীপ চাকমার

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই অভিযোগ তোলেন।

সম্প্রতি পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর থেকে খাগড়াছড়িতে অবরোধ, মিছিল, সমাবেশ ও সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এখন জেলার বিভিন্ন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার এবং শহীদ কাদের সড়কে দুটি পক্ষের মধ্যে পৃথক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনার সময় স্বনির্ভর ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কিছু দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয়েছে। ৭ প্লাটুন বিজিবি, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে।

সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া রাতে খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে ৩ যুবককে আটক করা হয়।

ঘটনায় সাজেকে ঘুরতে গিয়ে প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। পরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খাগড়াছড়ি ফিরে রাতেই সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন। তবে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন হোটেলে এখনও বিপুল সংখ্যক পর্যটক আটকা রয়েছেন এবং দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে দ্বিতীয় দফায় শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়।

অবরোধ চলাকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয়া হয়। আলুটিলা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটো ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও জনমনে আতংক বিরাজ করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

© 2025 Peoples Bangla | All Rights Reserved.
×