| রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান এডিবির |
রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য এডিবি–বাংলাদেশের ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ও ঋণ চুক্তি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের জন্য মৌলিক অবকাঠামো ও জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং ২৮.১ মিলিয়ন ডলারের স্বল্প সুদের ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং।
এডিবির বক্তব্য
হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন,
“মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের স্থিতিশীলতা ও জীবিকার সুযোগ জোরদারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে এডিবি রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ১৭১.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ দিয়েছে। নতুন এই সহায়তা তারই ধারাবাহিকতা।
প্রকল্পের আওতায় যা করা হবে
‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিজ ইমপ্রুভমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়—
- পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা ও বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
- কক্সবাজারে সোলার–পাওয়ারড স্ট্রিটলাইট স্থাপন, ভাসান চরে পয়োনিষ্কাশন পুনঃস্থাপন এবং রান্নার জন্য বায়োগ্যাস উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
- কক্সবাজার ও ভাসান চরে ড্রেনেজ খাল পুনঃস্থাপন, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণ এবং নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সুবিধা বাড়ানো হবে।
- হাতিয়ায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হবে।
- উখিয়া ও পালংখালীতে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার ও ট্রান্সমিশন পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।
- কক্সবাজার ও ভাসান চরে রাস্তার উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
বর্তমানে কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ নারী ও শিশু। এছাড়া নোয়াখালীর ভাসান চরে স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হয়েছেন প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
উল্লেখ্য, এডিবি তার সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে এডিএফ অনুদান দিয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment