ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আ. লীগ নেতা কৃষ্ণ চন্দ্র এখন এনসিপিতে - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Friday, August 22, 2025

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আ. লীগ নেতা কৃষ্ণ চন্দ্র এখন এনসিপিতে

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আ. লীগ নেতা কৃষ্ণ চন্দ্র এখন এনসিপিতে

রংপুরে ইয়াবা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এখন এনসিপি নেতা! রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়

রংপুরে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এবং দল থেকে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগের এক সাবেক উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদককে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র ইউনিয়ন পর্যায়ের যুগ্ম আহ্বায়ক করার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৮ আগস্ট রংপুর সদর উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী তওহীদ হোসেন সাদ্দাম এবং প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়ন এনসিপির ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এতে কৃষ্ণ রঞ্জণ বর্মন স্বাধীনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

কে এই কৃষ্ণ রঞ্জন বর্মন স্বাধীন?

তথ্যানুসারে, তিনি আওয়ামী লীগের রংপুর সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে মাদক ব্যবসা ও নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ২০২৪ সালে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

মামলার ঝুলিতে স্বাধীন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেলো বছর জুলাই-আগস্ট বিপ্লব দমনকালে অস্ত্র ও অর্থ যোগান দেওয়া ছাড়াও হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রংপুর মহানগরীর তাজহাট ও কোতয়ালী থানায় হত্যা ও হত্যা চেষ্টার তিনটি মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।
এছাড়া, উপজেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সেবনের মামলা চলমান।

এনসিপির অবস্থান

এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী তওহিদ হোসেন সাদ্দাম বলেন—
“২০২০ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

অন্যদিকে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব জানান—
“স্বাধীনের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লব বিরোধিতার কোনো প্রমাণ নেই। তবে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

সমালোচনার ঝড়

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মন্তব্য করছেন—
“যদি জুলাই বিপ্লব দমনকারীদেরই নতুন দলে জায়গা দেওয়া হয়, তবে আন্দোলনের চেতনারই অবমূল্যায়ন হবে।”

📌 বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

© 2025 Peoples Bangla | All Rights Reserved.
×