নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার - People’s Bangla

People’s Bangla

Voice of the People | জনতার কণ্ঠস্বর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, August 20, 2025

নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সাত কর্মী হত্যা মামলা : আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মানিক গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকর্মী হত্যা মামলার আসামি বসুরহাট পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিককে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় নিজ বাড়ি খাল বেপারী বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।

গ্রেপ্তার মানিক ওই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, নজরুল ইসলাম মানিক জামায়াত-শিবিরের সাত কর্মী হত্যা মামলার আসামি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৩ সালের হত্যাযজ্ঞ ও মামলা

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে জামায়াতের উদ্যোগে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল হয়। জামায়াতের অভিযোগ— শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে সাতজন জামায়াত-শিবির কর্মী শাহাদাত বরণ করেন।

শহীদ পরিবারের দাবি, চারজনকে পোস্টমর্টেম ছাড়াই দাফন করতে বাধ্য করা হয়। বাকি তিনজনের পোস্টমর্টেম মিডিয়ার চাপে করা হয়। উল্টো ওই ঘটনায় জামায়াত কর্মীদের বিরুদ্ধেই পুলিশ মিথ্যা মামলা দেয়।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নিহতদের পরিবার নতুন করে মামলা দায়ের করে। পরে নিহত কর্মী সাইফুল ইসলামের ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে তা আমলে নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু হয়। এছাড়া তৎকালীন থানা তদন্ত কর্মকর্তা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও আসামি করা হয়।

নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, “৫ আগস্টের পর শহীদ পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করলে এফআইআর কাটতে পুলিশ নানা ঘড়িমসি করে। লাশ উত্তোলনের পর কবর থেকে বুলেট উদ্ধার হয়। এই আসামিদের অনেক আগেই গ্রেপ্তার হওয়া উচিত ছিল। আমরা দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করছি।”

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

© 2025 Peoples Bangla | All Rights Reserved.
×