দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না: ডা. জাহিদ |
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বিএনপি নেতার মন্তব্য
পিপলস বাংলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন—দেশের জনগণ প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি বোঝে না, আর অতীতেও ধমক দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায়নি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন—যারা নির্বাচন বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন, তাদের কথায় আমরা স্বৈরাচারের পদধ্বনি শুনতে পাই।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন—“প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ সরকারের ভেতর থেকেই কেউ কেউ বলছেন, এটা হতে দেব না, সেটা হতে দেব না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা ভারতের মতো বড় গণতান্ত্রিক দেশেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় না। যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারাই এ পদ্ধতির কথা বলে।”
তিনি আরও যোগ করেন—“মব কালচারের মাধ্যমে দেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ অবস্থা—এসব প্রশ্নের জবাব চাই। ইতিহাস সাক্ষী, গুম-খুন ও নির্যাতনের পরও দেশের মানুষকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায়নি। এখনই সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির।”
এদিন বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবনির্বাচিত নেতাদের নিয়ে মাজার জিয়ারত করে দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়। ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন—“ড্যাবের নির্বাচন একটি মাইলফলক। আমরা একটি আস্থাশীল স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।”
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন—ড্যাবের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, মহাসচিব ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, কোষাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী হাসানসহ নবনির্বাচিত নেতারা। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট উৎসবমুখর পরিবেশে ড্যাবের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হারুন-শাকিল পূর্ণ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
No comments:
Post a Comment