ভারতে বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে অবগত নয় নয়াদিল্লি: জয়সওয়াল |
ভারতে বাংলাদেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সদস্যরা জড়িত—এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বুধবার এক সরকারি বিবৃতিতে জানান, “ভারতে আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপ বা ভারতীয় আইনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে ভারত সরকার অবগত নয়।”
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
জয়সওয়াল আরও বলেন, “ভারতের মাটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। তাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি অপ্রাসঙ্গিক।”
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতের প্রত্যাশা হলো, যত দ্রুত সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে জনগণের মতামত ও ম্যান্ডেট প্রতিফলিত হবে।
এর আগে একই দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লি ও কলকাতায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনের খবরের বিষয়ে উদ্বেগ জানায় এবং ভারত সরকারকে সেগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়—
- বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিশেষত পলাতক আওয়ামী নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ভারতে অফিস স্থাপন বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ।
- এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং দুই দেশের সম্পর্কের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- ভারত সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নিশ্চিত করা, যাতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের মাটিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রম চালাতে না পারে।
এছাড়া, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ দলের অনেক নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলার আসামি হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছে। এমনকি চলতি বছরের ২১ জুলাই দিল্লি প্রেসক্লাবে এনজিওর আড়ালে ওই দলের কিছু নেতা গণসংযোগ কর্মসূচি আয়োজনের চেষ্টা করে এবং সাংবাদিকদের মাঝে বুকলেট বিতরণ করে।
বিবৃতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থান করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাড়ছে, যা ঢাকার জন্য উদ্বেগের কারণ।
No comments:
Post a Comment