🗳️ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমোদন
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উত্থাপিত চারটি সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
✅ গেজেট প্রকাশের পথে চারটি আইন
বৈঠকে অনুমোদিত সংশোধনীগুলো হলো:
-
ইউনিয়ন পরিষদ আইন
-
পৌরসভা আইন
-
জেলা পরিষদ আইন
-
সিটি করপোরেশন আইন
এই চারটি আইনে দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত ধারাগুলো বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
📢 উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ঘোষণা
বেলা পৌনে একটার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে গিয়েছিল এবং আজ তা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
এখন এটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অনুমোদন শেষে গেজেট আকারে প্রকাশ পাবে।
📌 পটভূমি: কেন পরিবর্তন?
২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এরপর থেকেই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে আসছিল।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন—দুই পক্ষই দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। তাদের মতে, এই পরিবর্তনের ফলে এমন অনেক ব্যক্তি নির্বাচন করতে আগ্রহী হবেন, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সরাসরি অংশ নন, তবে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
🗳️ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। বিএনপি যেখানে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মতো কয়েকটি দল আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
No comments:
Post a Comment