সুলাইমান আ.-কে যে বিস্ময়কর রাজত্ব দিয়েছিলেন আল্লাহ |
সৌন্দর্য, সাম্রাজ্য ও ন্যায়বিচারের প্রতীক: মহান নবী হজরত সুলাইমান (আ.)
People’s Bangla ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে জ্ঞানের আলো, ন্যায়বিচার এবং অলৌকিক শক্তির নিদর্শন হিসেবে পরিচিত ইসলামের মহান নবী হজরত সুলাইমান (আ.), ছিলেন নবী দাউদ (আ.)-এর পুত্র এবং উত্তরসূরি। পিতার মৃত্যুর পর তিনি সাম্রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করে পূর্ব ও পশ্চিমের বিস্তৃত অঞ্চলে শাসনকাজ পরিচালনা করেন।
সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ও বরকতময় ভূমি
পবিত্র কুরআনে তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে—“মাশারিকাল আরদ ওয়া মাগারিবিহা”, অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল। তাঁর শাসনাধীন ভূমিকে বরকতময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যাকে অনেক তাফসিরকারক শাম (বর্তমান সিরিয়া) অঞ্চলের পবিত্র ভূমি বলে মনে করেন।
মানব, জিন, পাখি—সবার ওপর শাসন
হজরত সুলাইমান (আ.)-এর রাজত্ব ছিল এক অলৌকিক শাসনব্যবস্থা।
- মানব, জিন, পশু-পাখি—সবকিছুর উপর ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণ
- বাতাস ছিল তাঁর বশে, যা দিয়ে দূর-দূরান্তে দ্রুত যাতায়াত করতেন (সুরা আম্বিয়া: ৮১)
- জিনদের মাধ্যমে তিনি তৈরি করতেন অসাধারণ স্থাপত্যকর্ম, শিল্প ও অলংকার (সুরা সাবা: ১২-১৩)
লৌহ ও তামার মুজিজা, জিনদের সাহায্যে নির্মিত বায়তুল মুকাদ্দাস
আল্লাহর পক্ষ থেকে:
- পিতা দাউদ (আ.)-কে লৌহ গলানোর মুজিজা
- পুত্র সুলাইমান (আ.)-কে তামা গলানোর কৌশল দান করা হয়
এই অলৌকিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করেন—যা আজও তাঁর ঐতিহাসিক কীর্তি হিসেবে স্বীকৃত (সুরা সাবা: ১৪)।
ব্যক্তিগত জীবনে নির্লোভ ও পরিশ্রমী
অত্যন্ত নম্র ও নির্লোভ সুলাইমান (আ.) রাজকোষ থেকে কোনো ভাতা গ্রহণ করতেন না। বরং নিজ হাতে ঝুড়ি তৈরি করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তাঁর ন্যায়বিচার আজও মানব সভ্যতায় আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়।
🕌 হাইলাইটস:
- হজরত সুলাইমান (আ.) ৪০ বছর রাজত্ব করেন
- আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে মানব-জিন সবাই ছিল তাঁর অধীন
- বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ তাঁর ঐতিহাসিক কীর্তি
- পরিশ্রম ও আত্মনির্ভরতার অনন্য দৃষ্টান্ত
- ইসলামী শাসনের ন্যায়বিচারের অনুপম প্রতীক
No comments:
Post a Comment