বিএনপি করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় জামায়াত কর্মীকে মারধর |
🟥 বিএনপিতে যোগ না দেওয়ায় জামায়াত কর্মীকে মারধরের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি
পটুয়াখালীর বাউফলে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে জামায়াত কর্মী ফারুক হাওলাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ফারুক হাওলাদার বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
🎙️ আহতের অভিযোগ
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হাওলাদার বলেন, “ঢাকায় জামায়াতের ঐতিহাসিক সমাবেশে যোগদানের পর থেকেই বিএনপি নেতা জসিম পঞ্চায়েত আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মঙ্গলবার আমি বাউফলে জামায়াতের আনন্দ মিছিলে অংশ নেই। এর জেরে বুধবার সকালে জসিম ও তার সহযোগীরা আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করে। আমি বারবার বলি আমি অসুস্থ, আমাকে মারিস না—তবুও তারা থামেনি। আমাকে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়, এমনকি অণ্ডকোষে লাথি মারে। এরপর হুমকি দেয়—আজকের মধ্যে কালাইয়া না ছাড়লে আমাকে মেরে ফেলবে।”
🧕 স্ত্রীর বক্তব্য
ফারুকের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, “আমার স্বামী অনেক অসুস্থ। তাকে ঘর থেকে ডেকে এনে এভাবে মারধর করেছে। হুমকি দিয়েছে যে কালাইয়া ছেড়ে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলবে।”
🕌 স্থানীয় জামায়াত নেতার প্রতিক্রিয়া
কালাইয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সহ-সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাসনিম আলম বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতা এতে বাধা সৃষ্টি করছে, এমনকি নারী কর্মীদেরও হুমকি দিচ্ছে।”
❌ অভিযুক্ত নেতার বক্তব্য
অভিযোগ অস্বীকার করে কালাইয়া ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সভাপতি জসিম পঞ্চায়েত বলেন, “ফারুক আগে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। আমি তাকে বিএনপিতে যোগ দিতে বলেছিলাম। সে জামায়াতের রাজনীতি করায় কথা-কাটাকাটি হয়েছে, তবে আমি তাকে মারিনি।”
🛃 পুলিশের অবস্থান
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
📢 জামায়াতের অবস্থান
বাউফল উপজেলার জামায়াত আমির মাওলানা ইসহাক মিয়া বলেন, “আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
No comments:
Post a Comment